
কক্সবাজারের টেকনাফে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পের বাইরে যাতায়াত করা নারী ও শিশুসহ ১০৭ জন রোহিঙ্গাকে হেফাজতে নেয় বিজিবি। পরে তাদের শরণার্থী ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়।
বুধবার গভীররাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের দমদমিয়া চেকপোস্টে তল্লাশি চালিয়ে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বাইরে অবাধে আনাগোনা বেড়েছে।
এদের মধ্যে অনেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে সংঘটিত নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ার তথ্য বিজিবির কাছে রয়েছে।
“এতে সীমান্ত এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এ নিয়ে বিজিবি টেকনাফের বিভিন্ন তল্লাশি চৌকিতে তৎপরতা বৃদ্ধি করে।”
এর পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের দমদমিয়া চেকপোস্টে তল্লাশি জোরদার করা হয়।
এ সময় ক্যাম্প প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বাইরে যাতায়তের সময় বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি করে ১০৭ জন রোহিঙ্গাকে হেফাজতে নেওয়া হয় বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।
বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, “হেফাজতে নেওয়া রোহিঙ্গারা টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ৬১ জন পুরুষ, ২৮ জন নারী ও ১৮ জন শিশু।
“তারা টেকনাফসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্পের বাইরে অবস্থানকারী আত্মীয়ের কাছে বেড়াতে যাওয়াসহ নানা কাজে যাতায়াত করছিল।”
পরে তাদের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নিয়ে নিজ নিজ ক্যাম্পের মাঝির জিম্মায় ফেরত পাঠানো হয় বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, টেকনাফে নিয়মিত অভিযান চললেও উখিয়ায় তেমন অভিযান পরিচালিত হয় না। ফলে উখিয়ার কুতুপালং এলাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা এখন রোহিঙ্গায় ভরে গেছে।

পাঠকের মতামত